খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যূরাল ভাঙচুর করেছে ছাত্র-জনতা। বুধবার দিবাগত মধ্য রাতে বুলডোজার দিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এসময় ছাত্র-জনতা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
এর আগে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল করে। মধ্যরাত পর্যন্ত ভাঙার কাজ চলে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভাঙা সম্ভব হয়নি।
মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু হলের সামনে পৌঁছালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সেখানে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে জুতা নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করে। এরপর তারা মূল ফটকের দিকে জড়ো হয়।
এক বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী বলেন, “এই প্রতীকগুলো আমাদের জন্য নিপীড়ন ও স্বৈরাচারের চিহ্ন। এগুলো থাকা অর্থ ২৪ এর গণ আন্দোলনকে কলুষিত করা ।আমাদের ক্যাম্পাসে এর ঠাঁয় নেয়।স্বৈরাচারকে এভাবে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীরা মূল ফটকের দিকে যাওয়ার আগে কিছু বহিরাগতকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেখা যায়। তারা একটি ভেকু (বুলডোজার) নিয়ে এসেছিল। তবে শিক্ষার্থীদের বাধায় তারা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যায়।
পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভেকু ব্যবহার করে কালজয়ী মুজিব ম্যুরালটি ভাঙার চেষ্টা চালায়, তবে তা পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। বর্তমানে ম্যুরাল ভাঙার কাজ স্থগিত আছে।
উল্লেখ্য, এর আগে পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শাহবাগ থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের উদ্দেশে ছাত্র-জনতার জমায়েত শুরু হয়। অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে লিখেছিলেন, “সারা দেশে অবশিষ্ট মুজিবের মূর্তি জয় বাংলা করে দিন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুজিবের একটা বিশাল মূর্তি আছে, এখনো। ওটা আজ রাতে জয় বাংলা করে দিন। ফ্যাসিবাদের সকল চিহ্ন বিলোপের মধ্যেই আছে জুলাই বিপ্লবের সফলতা।”
অপরদিকে নগরীর দোলখোলা মোড়ে আওয়ামী লীগ নেতা দেলোর বাড়িতে হামলা এবং অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
খুলনা গেজেট/এমএম